
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দীর্ঘ চিকিৎসার পর আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরবেন। সফল অপারেশনের প্রায় দশদিন পর তার এই প্রত্যাবর্তন দলের জন্য একটি সুখবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সোমবার রাতে এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুবায়ের জানান, ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসা প্রক্রিয়া সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি এখন বাসায় ফিরে পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা ও বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি নিজ বাসায় পৌঁছাবেন। এসময় তিনি দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য করা দোয়া ও শুভেচ্ছার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই শীর্ষ নেতা দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছেন। তার এই দ্রুত আরোগ্য জামায়াতের অভ্যন্তরে এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন, যেখানে তাঁরা ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন। তারা দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থকদের কাছে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেন এবং নেতার দ্রুত আরোগ্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসা চলাকালীন জামায়াত পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা এবং সাধারণ সমর্থকরা তার জন্য দেশব্যাপী দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতার সুস্থতা দলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দলের পুনর্গঠনে একটি নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।
জামায়াতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থান ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ডা. শফিকুর রহমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই তার সুস্থতা দলের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
সর্বশেষ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও দলের শীর্ষ নেতাদের সুস্থতা ও সক্রিয়তা দেশীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডা. শফিকুর রহমানের বাসায় প্রত্যাবর্তন দলীয় কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির ওপর একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আসন্ন প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা এবং দলীয় অগ্রগতিসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন বলে জানা গেছে। এই ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তারা দেশের জনগণ ও মিডিয়ার কাছে তথ্য প্রকাশ করবেন এবং নেতার সুস্থতায় ধন্যবাদজ্ঞাপন করবেন।
ডা. শফিকুর রহমানের বাসায় প্রত্যাবর্তনের এই মুহূর্তটি জামায়াতের নেতাকর্মীদের জন্য এক বড় আনন্দ ও আশার সঞ্চার করেছে, যা দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে বলে প্রত্যাশিত।
বাংলাবার্তা/এমএইচ