সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে রাজনৈতিক মাঠ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলোচনায় তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন।

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে সৃষ্ট বিভাজনের মধ্যেই এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে লন্ডনে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে ১৩ জুন শুক্রবার সকালে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে একটি বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লন্ডনে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কৌশলগত মেরুকরণের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ়করণ ও একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

দক্ষিণাঞ্চলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক ও সামাজিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ অংশ নিয়েছেন কুমিল্লার দেবিদ্বারে আয়োজিত ব্যতিক্রমধর্মী এক ঈদ উৎসবে, যেখানে একত্রে চার হাজার মানুষের জন্য আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য মেজবানি।

এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের যে প্রস্তাব এসেছে, সেটিকে ‘হঠকারী’, ‘অপরিণামদর্শী’ ও ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শনিবার (৭ জুন) রাতে গুলশানের নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অনুষ্ঠিত এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঈদের দিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এপ্রিল মাস বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘কোনোভাবেই উপযোগী নয়’।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা আবারও তুঙ্গে উঠেছে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘিরে। ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে পারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য বৈঠক—এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকার রাজনৈতিক মহল ও কূটনৈতিক বৃত্তে।

এবারের কুরবানির ঈদ রাজনীতিতে এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে উদযাপিত দ্বিতীয় ঈদ এটি, এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে এটি উদযাপন করা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই মুক্ত ও ভীতিমুক্ত পরিবেশে।

বাংলাদেশে গুম-খুনের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানের আইনি পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য নাহিদ ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, তারা স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন যে, জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করা উচিত নয়।

বাংলাদেশে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকার ও বিএনপির মধ্যকার দূরত্ব ক্রমেই তীব্র রাজনৈতিক তিক্ততায় রূপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনের সময়সীমা, রোডম্যাপ ও অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি দু`পক্ষের কণ্ঠে যে ধরণের কঠোরতা শোনা যাচ্ছে, তাতে করে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহুল আলোচিত একটি মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনরায় স্বীকৃতি দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।