
ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ মারুফুর রহমান। তিনি যুগ্ম কমিশনার। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত। তিনি ঘুষ,দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মারুফুর রহমান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে দুর্নীতির আতুরঘরে পরিণত করেছেন। আর এমনই অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব,জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মারুফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে একজন সহকারি কমিশনার,একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও তিনজন সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা রয়েছে। এদের অধীনে গঠিত সিন্ডিকেট মদ,সিগারেটের বিভিন্ন চালান থেকে ২-৪ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করেছেন।
আরও জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হাসান এবং সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো নজরুল,রেজাউল এবং ফালতু রাজু প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি টাকা ঘুষ সংগ্রহ করে মারুফকে দেন। তাছাড়া গ্রীণ চ্যানেল থেকে ফালতু রাজু অবৈধ ফেব্রিক্স আমদানির প্রতি চালান থেকে ২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে মারুফকে দেন। অপরদিকে শুল্কায়ণ গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সজিব পাল থেকে প্রতি সপ্তাহে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করেন। যা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সবার মুখে মুখে। তাছাড়া অফডগ থেকে (এআইআর) কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা মো কামাল হোসেনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি রফতানি চালান থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ নেন এই কাস্টম অফিসার।
এই যুগ্ম কমিশনার এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মো.রহমাতুল মুনিমের শ্যালক হিসেবে এনবিআরে সবার কাছে পরিচয় দিতেন এবং ভয়ভীতি দেখাতেন। এছাড়া বর্তমানে এনবিআরের ২জন মেম্বার এর নাম ভাঙ্গিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দুর্নীতির মাফিয়া হয়ে উঠেন। এছাড়া এই কর্মকর্তা বলে বেড়ান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বর্তমান কমিশনার মো শফিউদ্দিন একজন অদক্ষ ও অপদার্থ কমিশনার,যিনি কাস্টসের কোন আইন কানুন বোঝেন না। তিনি সকলের কাছে বলে বেড়ান, তার উপরে এনবিআরের ২জন সদস্যর ছায়া আছে তার কিছুই হবে না। এমনকি তিনি বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয় বলে সব জায়গাতে নিজেকে জাহির করেন।
আরও জানা যায়, এই কাস্টম কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ২টি প্রিমিও গাড়ি যার মডেল নাম্বার ২০১৮-২০২২। আর নতুন করে তিনি একটি হ্যারিয়ার গাড়ি ক্রয় করেছেন। এই হ্যারিয়ার গাড়িতে করে উঠতি বয়সি নানা মডেলদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে। মারুফুর রহমানের নারী ঘটিত কারণে তার প্রথম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার বর্তমান স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। এমনকি স্ত্রীকে লন্ডনে বাড়ি কিনে দিয়েছেন এবং সন্তানরা লন্ডনে পড়ালেখা করছে। একজন ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা কিভাবে সন্তানদের লন্ডনে পড়ালেখা করান এবং স্ত্রীকে বাড়ি কিনে দেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই কর্মকর্তার চাকরি রয়েছে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত।
এ বিষয়ে যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাবার্তাকে বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। এরপর তিনি ব্যস্ত বলে ফোনটি কেটে দেন।
বাংলাবার্তা/এসজে