
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, একযোগে চারটি বড় হলিউড সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পেয়েছে। ২৭ জুন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হতে শুরু করেছে ‘মেগান ২.০’, ‘এফ ওয়ান’, ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’ এবং ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’—যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
প্রথমত, আলোচিত হরর ছবি ‘মেগান’-এর সিক্যুয়েল ‘মেগান ২.০’ বাংলাদেশে মুক্তির মাধ্যমে ভয়ের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রথম ছবির জনপ্রিয়তা এবং সাফল্যের পর এটি দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ‘মেগান ২.০’ সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আজ (২৭ জুন) মুক্তি পেয়েছে এবং বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীরা এখন এটি সিনেমা হলে দেখতে পারবেন। ছবিটির ভয়ের দৃশ্য, প্লট টুইস্ট এবং নতুন চরিত্র দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, মোটরস্পোর্টস প্রেমীদের জন্য সুখবর ‘এফ ওয়ান’—যা ফর্মুলা ওয়ান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ত্রিলার। গতকালই আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যেখানে বিশ্বখ্যাত রেসিংয়ের উত্তেজনা, চমকপ্রদ কাহিনী এবং চমৎকার ভিজুয়াল এফেক্ট দর্শকদের মন জয় করেছে। বাংলাদেশে এই সিনেমার মুক্তি ফর্মুলা ওয়ানের প্রতি আগ্রহীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করেছে।
তৃতীয়ত, অ্যানিমেশন প্রেমীদের জন্য ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’ সিরিজের লাইভ-অ্যাকশন রিমেক ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’ মুক্তি পেয়েছে। গত ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মুক্তির পর সারা বিশ্বের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ছবিটি অসাধারণ সাড়া পেয়েছে। এ বছর মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমার মধ্যে আয় দিক থেকে এটি সেরা পাঁচের মধ্যে রয়েছে, চতুর্থ স্থানে। বাংলাদেশেও এটি শিশু থেকে বড় সকল বয়সী দর্শকের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিনোদনের উৎস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবশেষে, দশ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন কিস্তি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’ মুক্তি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুরাগীরা এই সিরিজের নতুন ছবি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন এবং নতুন কাহিনী ও চমকপ্রদ ভয়াবহ দৃশ্যের মাধ্যমে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে ছবিটি। এর ফলে বাংলাদেশের ভয়ের সিনেমা প্রেমীরা ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’-এর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের দর্শকরাও এই সিনেমাগুলোর প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিবেন। প্রতিটি ছবি আলাদা ধরণের বিনোদন ও অনুভূতি নিয়ে এসেছে যা ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর দর্শকদের পছন্দ হবে।”
একসাথে চারটি বড় আন্তর্জাতিক সিনেমার মুক্তি বাংলাদেশের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে একটি উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে। যাদের পছন্দ একশন, থ্রিলার, অ্যানিমেশন কিংবা হরর—সব ধরনের দর্শকদের জন্য এবারই সেরা সময় চলচ্চিত্র ভ্রমণের।
এমন মিশ্র রঙের বিনোদন নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের দর্শকদের বিনোদন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা ভোগের সুযোগ বাড়াবে। বর্তমানে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় এই সিনেমাগুলো প্রদর্শন চলছে এবং দর্শকরা টিকিটের জন্য ব্যাপক উৎসাহ প্রদর্শন করছেন।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সিনেমার এত বিস্তৃত মুক্তি চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা ও আগ্রহের একটি প্রমাণ, যা ভবিষ্যতে আরও গুণগত মানের সিনেমা প্রদর্শনের পথ সুগম করবে। সুতরাং, যারা চলচ্চিত্রপ্রেমী, তাদের জন্য জুনের শেষটা দারুণ কিছু সিনেমার আনন্দ উপহার নিয়ে এসেছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ