
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর পূর্ণতা পেলো সোমবার (২৬ মে) বাকি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা লাহোরে পৌঁছানোর মাধ্যমে। আগের দিন, রোববার, দলের প্রথম বহরটি পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছালেও আজ গিয়ে একত্রিত হলো পুরো স্কোয়াড। সফরের উদ্দেশ্য—পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা, যার প্রথমটি মাঠে গড়াবে আগামী বুধবার (২৮ মে) ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
এই সিরিজ ঘিরে বেশ আগ্রহ এবং কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। বিশেষ করে ঈদের আগেই সিরিজটি সম্পন্ন করতে চেয়েছে দুই দেশের বোর্ড, ফলে সিরিজের দৈর্ঘ্য কিছুটা সংক্ষিপ্ত হলেও প্রতিটি ম্যাচের গুরুত্ব এবং উত্তেজনার ঘাটতি থাকবে না বলেই ধারণা।
রোববার দলের প্রথম বহরে ছিলেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, তানভীর ইসলাম, ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে দলীয় ম্যানেজার নাফিস ইকবালসহ আরও কয়েকজন। সোমবার সকালে দ্বিতীয় ধাপে লাহোরে পৌঁছান দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস, উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলী অনিক, অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম পাটোয়ারীসহ বাকি খেলোয়াড় ও কোচিং ইউনিট।
সফরের শুরুতে পিএসএলের দুই চ্যাম্পিয়ন—রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ—দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যে লাহোরেই ছিলেন। পিসিবির এক ভিডিও বার্তায় জানানো হয়েছে, সফরকারী দলের সব সদস্য সফলভাবে ম্যাচ ভেন্যুতে পৌঁছে গেছেন এবং প্রস্তুতিতে মনোযোগী হচ্ছেন।
এই সফরে থাকছেন না দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন তিনি। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন খালেদ আহমেদ, যিনি দ্রুত পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আরেক খেলোয়াড় নাহিদ রানা এই সফর থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। ফিল্ডিং কোচ জেমস পামেন্ট এবং ট্রেইনার নাথান কাইলিও ব্যক্তিগত কারণে দলের সঙ্গে যাননি। তবে বিসিবির তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাদের অভাব পূরণে বিকল্প প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘোষিত স্কোয়াডে থাকা সৌম্য সরকার চোটের কারণে ম্যাচ খেলতে পারছেন না। তার জায়গায় দলে যুক্ত হচ্ছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলে তার উপর দলের নির্ভরতা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার এই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি পুরোটাই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
প্রথম ম্যাচ: ২৮ মে
দ্বিতীয় ম্যাচ: ৩০ মে
তৃতীয় ম্যাচ: ১ জুন
তিনটি ম্যাচই শুরু হবে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)। ঈদের আগে সিরিজটি শেষ করতে আগ্রহী ছিল দুই বোর্ডই, তাই শুরুতে পরিকল্পিত পাঁচ ম্যাচের পরিবর্তে তা কমিয়ে তিন ম্যাচে নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের পূর্ণ স্কোয়াড: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, তানভীরুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
এই সিরিজ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কম্বিনেশনের কার্যকারিতা যাচাই করার উপযুক্ত একটি সুযোগ এটি। প্রতিপক্ষ পাকিস্তানও রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। তাই তিনটি ম্যাচই হতে যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর।
ভক্তরা এখন অপেক্ষায়—টাইগারদের সাহসী ক্রিকেটে মাতিয়ে দেওয়ার।
বাংলাবার্তা/এমএইচ