
ছবি: সংগৃহীত
ভুটানের মাঠে যেন গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার। সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও সুমাইয়া – এই চারজনের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভুটান নারী ফুটবল লিগে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে পারো এফসি। বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফুটসিলিং এফসিকে ২২-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে দলটি। এর মধ্যে ১৯ গোল এসেছে বাংলাদেশের এই চার ফুটবলারের পা থেকে।
এই বিশাল জয়ে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন একাই করেন সাতটি গোল। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ম্যাচশেষে সাবিনা বলেন, "গোল করছি, দল জিতছে—ভালো লাগছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।"
পারো এফসির হয়ে অন্যদিকে আরও ছয়টি গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। চারটি করেন তরুণ ফরোয়ার্ড সুমাইয়া এবং দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা। প্রথমার্ধেই দলটি ১১-০ গোলের বড় লিড নেয়, যেখানে প্রতিপক্ষ ফুটসিলিং এফসি পুরো ম্যাচজুড়ে কার্যত বল দখলেই ছিল না।
পারো এফসির হয়ে এই চার বাংলাদেশি ফুটবলার যেন দলের গোল মেশিনে পরিণত হয়েছেন। এক ম্যাচ আগেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন সুমাইয়া, আজ তার জায়গা নিলেন সাবিনা। নিয়মিতভাবে দলে গোলের উৎস হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের এই চার কৃতি নারী।
ভুটান নারী ফুটবল লিগে অংশ নেওয়া পারো এফসি ইতোমধ্যে একের পর এক বড় জয় তুলে নিচ্ছে। এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তারা শুধু গোল করছেন না, বরং দলের খেলা নিয়ন্ত্রণ করেও প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের নারীদের প্রভাব বাড়ছে এবং তা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রমাণ করছেন তারা। ভুটান লিগে তাদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের নারী ফুটবলের গর্ব বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে সাবিনা খাতুনের ধারাবাহিকতা এবং তরুণদের জ্বলে ওঠা ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।
ভবিষ্যতে এই চারজনের পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকলে শুধু পারো এফসি নয়, বরং বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্যও এটি হবে একটি বড় প্রাপ্তি।
বাংলাবার্তা/এমএইচ