
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার আশ্বাস দিয়েছেন যে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে চিঠি পেয়েছে, এবং ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়েছে—নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “লন্ডনে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পর থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সংঘাত, রক্তপাত, অস্থিতিশীলতা—সবই প্রমাণ করে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রকাশ্যে বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে তিনি এই ঘোষণা দেন। তার মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম দাবি করছে, নির্বাচন আগে রাজনৈতিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, “সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সময় বেঁধে দেওয়া থাকলে সংস্কারের দাবি ভোট পিছানোর হাতিয়ার হয়ে যেতে পারে।”
বেশ কয়েকটি দল নানাভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচন ঠেকানো। গণতন্ত্র পর্যবেক্ষক ফোরামের চেয়ারম্যান সৈয়দা রুবিনা বলেন, “যারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতার স্বাদ পাচ্ছে, তাদের কাছে নির্বাচনের পর সেই সুযোগ থাকবে না। তাই তারা অস্থিরতা তৈরি করছে।”
রাজনৈতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতির মতো অপরাধ বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর (অব.) ইমতিয়াজ করিম বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত নিরাপত্তা সংকট। সরকার যদি এখনই দৃঢ় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ