
ছবি: সংগৃহীত
শূন্য রিটার্নের ভুল প্রক্রিয়া করদাতাদের জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে—এ কথা জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, “আমরা কাউকে ভয় দেখাতে চাই না, বরং ভুল থেকে সচেতন করতে চাই।”
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ সচিব, বিশেষ সহকারীসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বিভিন্ন দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শূন্য রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা আইনের দিক থেকে বিপজ্জনক। “আপনার রিটার্ন যদি অডিটে পড়ে, আর সেখানে অসত্য তথ্য থাকে—তাহলে তার জবাব দেওয়া যাবে না, আর এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার করদাতা অনলাইনে ট্যাক্স জমা দিচ্ছেন। এটিই প্রমাণ করে মানুষ সচেতন হচ্ছে, ভয় পাচ্ছে না।”
এনবিআরের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর সাধারণ ক্ষমা ও সম্ভাব্য চাকরিচ্যুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, “গণহারে চাকরিচ্যুতি হয়নি এবং করার পরিকল্পনাও নেই। সীমালঙ্ঘনের কারণে কেবল কয়েকজন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “যারা প্রকাশ্যে সহকর্মীর আদেশ ছিঁড়ে ফেলেছেন—শুধু তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, সরকার চায় রাজস্ব বিভাগকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে। তাই কর্মকর্তাদের অনুপ্রাণিত করেই রাজস্ব আদায় অব্যাহত রাখা হবে।
“আমাদের রিসোর্স নষ্ট করলে ক্ষতি রাষ্ট্রেরই হবে, তাই সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে,”—যোগ করেন তিনি।
বাংলাবার্তা/এমএইচ