
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই সানসিল্কের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। ঢাকায় পৌঁছার পর ফেসবুকে হানিয়া লিখেছেন, ‘আসসালামুয়ালাইকুম, বাংলাদেশ কেমন আছ?’ এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকার সঙ্গে ভালোবাসার ইমোজি যুক্ত পোস্ট করেছেন, যা বাংলাদেশের নেটিজেনদের মধ্যে উষ্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার সকালে হানিয়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ি, আহসান মঞ্জিলে পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন নবাববাড়ির মেয়ে নামিরা নাঈম, যিনি চিত্রনায়ক নাঈম ও নায়িকা শাবনাজ দম্পতির বড় কন্যা। নামিরা জানান, হানিয়া নবাব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় পেয়ে বেশ চমকিত হন এবং দুজনে ঘনিষ্ঠভাবে আড্ডা দেন।
নামিরা বলেন, “শুটিংয়ের জন্য ভোর সাড়ে পাঁচটায় আহসান মঞ্জিলে হাজির হন হানিয়া। তখনও খালি পেটে তিনি প্রথমে নাগা মরিচের ঝালমুড়ি দিয়ে নাশতা সারেন। হানিয়া সত্যিই ঝাল খেতে পারেন, যা আমাদের জন্য অবাক করা। এরপর তিনি ফুচকাও খেয়েছেন তিন-চারটি নাগা মরিচ দিয়ে। আমাদের তো এই ঝালে চোখের পানি আসে, কিন্তু হানিয়ার জন্য সব স্বাভাবিক।”
নামিরা আরও জানান, এই আয়োজনটি ছিল ইউটিউবার রাফসান দ্য ছোটভাইয়ের ভ্লগ শুটিংয়ের অংশ। হানিয়াকে আহসান মঞ্জিলে আনার জন্য রাফসান নামিরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। নামিরা বলেন, “হানিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়ে আনন্দ পেয়েছি। নবাব পরিবারের মেয়েকে চেনে জানতে পেরে তার আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। পাকিস্তানে আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পর্কে জানার পর তিনি অবাক হয়েছেন। পাকিস্তানি ডিজাইনার আমির আদনান এবং অভিনেতা-গায়ক আলী জাফর সম্পর্কেও আলাপ হয়েছে।”
নামিরা বলেন, “হানিয়া সামনাসামনি দেখাটা চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। সে প্রাণবন্ত, বন্ধুসুলভ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। তিন ঘণ্টার এই সময় আমাদের সঙ্গে আড্ডা ও শুটিংয়ে অংশ নিয়ে মুগ্ধ করেছে।”
নামিরা জানান, হানিয়া আগামীকাল, ২১ সেপ্টেম্বর, সানসিল্ক আয়োজিত এক্সক্লুসিভ ফটোশুটে অংশ নেবেন। ঢাকায় তার এই সফর শুধু ভ্লগ ও ফটোশুট নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে তুলেছে।
হানিয়ার নবাববাড়ি সফর দর্শক ও ভক্তদের জন্য এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার রাস্তাঘাটের সাধারণ খাবারের প্রতি আগ্রহ, নবাব পরিবারের সঙ্গে মিশে আড্ডা, এবং ভ্লগিংয়ে অংশ—সবই তার সহজপ্রীতি ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ