
ছবি: সংগৃহীত
৪৪তম সাধারণ সরকারি কর্ম কমিশন (বিসিএস) পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এক হাজার ছয়শো নব্বই জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফলের এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১,৭১০টি শূন্যপদের বিপরীতে মোট ১,৬৯০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যোগ্য প্রার্থীর অভাবে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদে কোনও প্রার্থী মনোনীত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পিএসসি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও সব প্রার্থীকে নির্দিষ্ট ক্যাডারের পদে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। যেখানে প্রার্থীর সংখ্যা পদসংখ্যার চেয়ে কম বা অনুপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি, সেখানে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের সুপারিশ হয়নি।
যেসব প্রার্থীকে কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি, তাদের জন্য রয়েছে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগ। কমিশন জানায়, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শূন্যপদে পর্যায়ক্রমে ওই প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য মেধাক্রম ও বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করে সুপারিশ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফলাফলে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে কমিশন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মনোনয়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে সহজলভ্য রয়েছে, যেখানে প্রার্থীরা নিজেদের ফলাফল, ক্যাডার ও নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণত দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল নিয়োগের জন্য।
পিএসসি পরীক্ষা সাধারণত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়—লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) এবং মেডিকেল পরীক্ষা। সফল প্রার্থীদের কৃতিত্বের ভিত্তিতে সরকারী বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
পিএসসি বাংলাদেশের সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য দায়ী সর্বোচ্চ সংস্থা। কমিশনের নিয়মনীতি অনুসারে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে যা দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বর্তমান বিসিএসের ফলাফলে, যেহেতু কিছু পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি, সেহেতু কমিশন ও সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে মেধাক্রম অনুযায়ী পদ পূরণের চেষ্টা চালাবে।
এই চূড়ান্ত ফলাফল দেশের চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং সরকারি চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদসংখ্যার ব্যাপক চাহিদা তুলে ধরেছে। পিএসসির এই ফলাফল ভবিষ্যতের জন্য আরও দক্ষ ও যোগ্য জনবল গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ