
ছবি: সংগৃহীত
আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ধারাবাহিক দুটি সিরিজ খেলে ইতোমধ্যে আত্মবিশ্বাসের লেজ রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ক্রিকেটাররা চান, এশিয়া কাপের আগে আরও একটি সিরিজ খেলে নিজেদের ফর্ম এবং দলীয় সামর্থ্য আরও শক্তিশালী করা হোক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত জুনে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এর পরেই অগাস্টে ভারতের সঙ্গে একটি সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, যা ভারত এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। এর ফলে এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের বড় একটি বিরতির মুখে পড়তে হচ্ছে, যা দলীয় প্রস্তুতির জন্য অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে লিটন দাস, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ শেষে বলেছেন, “যদি এশিয়া কাপের আগে আরেকটি সিরিজ হয়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে।” লিটনের কথায় বোঝা যায়, তিনি ও তার সতীর্থরা গ্যাপের মধ্যে নিজেদের পারফরম্যান্স ধারাবাহিক রাখতে চান এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ অভিজ্ঞতা অর্জনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
অন্যদিকে পেসার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, “বিসিবি চেষ্টা করছে এশিয়া কাপের আগে একটি অতিরিক্ত সিরিজ আয়োজন করতে।” বোর্ড এ ব্যাপারে সর্তক পরিকল্পনা করছে যাতে খেলোয়াড়রা ম্যাচ রিদম হারিয়ে না ফেলে।
যদি নতুন কোনো সিরিজ আয়োজন সম্ভব না হয়, তবুও বিসিবি প্রস্তুতি শিবির ও ফিটনেস ক্যাম্পের মাধ্যমে দলের সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করবে। এই শিবিরগুলোতে ক্রিকেটাররা স্কিল ও ফিটনেস উন্নত করতে নানা ধরনের অনুশীলন ও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে করে দলীয় সামর্থ্য উন্নয়ন এবং ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসের উচ্চতায় রয়েছে। বিশেষ করে লিটন দাসের নেতৃত্বে তরুণ ক্রিকেটাররা ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই জয়ের মঞ্চ থেকে তারা এশিয়া কাপেও ভালো খেলার আশা জাগিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক সিরিজ না থাকলেও স্কিল ও ফিটনেস ক্যাম্পের পাশাপাশি ম্যাচ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একটি সিরিজ খুবই প্রয়োজন। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে খেলা না হলে ক্রিকেটারদের রিদম হারানোর আশঙ্কা থাকে, যা বড় টুর্নামেন্টে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে বিসিবি এশিয়া কাপের প্রস্তুতি বিষয়ে বেশ সক্রিয় রয়েছে। তাদের পরিকল্পনায় নতুন সিরিজ আয়োজনের বিষয়টি শীর্ষে রয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক সময়সূচির জটিলতা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। তবুও বোর্ডের উচ্চ পর্যায় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সফল করতে না হলে, ম্যাচ অভিজ্ঞতা হারানোর পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ফর্ম ও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই বিসিবি চেষ্টা করছে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস এবং পেসার তাসকিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন, এশিয়া কাপের আগে আরও একটি সিরিজ খেলতে পারবেন তারা। ভারত সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ায় বড় গ্যাপ তৈরি হওয়ায় বিসিবি চেষ্টা করছে নতুন সিরিজ আয়োজনের। নাহলে স্কিল ও ফিটনেস ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ