
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের দাবি-দাওয়া জোরালো করতে তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশের সাত বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। প্রতিটি বিভাগে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা নেতৃত্ব দেবেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরিশাল মহানগরের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। রংপুর মহানগরে থাকবেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। চট্টগ্রামে নেতৃত্ব দেবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
এছাড়া সিলেট মহানগরে কর্মসূচি পরিচালনা করবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ। রাজশাহী মহানগরে থাকবেন আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। মোমেনশাহী (ময়মনসিংহ) মহানগরে নেতৃত্ব দেবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। খুলনা মহানগরে থাকবেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
জামায়াত বলছে, তারা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের মতে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন এবং পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন দাবি করছে দলটি।
তিনদিনের কর্মসূচির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত যৌথভাবে বিক্ষোভ করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। বিশেষ অতিথি থাকবেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
দাবির সারসংক্ষেপ
জামায়াত যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে, তা হলো—
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
২. জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তন।
৩. সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা।
৪. সরকারের ‘জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতি’র বিচার করা এবং তা দৃশ্যমান করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে। দলের নেতারা আশা করছেন, জনগণের অংশগ্রহণে এ আন্দোলন সরকারকে দাবির প্রতি বাধ্য করবে।
সাত বিভাগে শুক্রবারের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে জামায়াত ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের সক্রিয় করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু দলীয় শক্তি প্রদর্শনের কর্মসূচি নয়, বরং নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করারও একটি কৌশল।
বাংলাবার্তা/এমএইচ