
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আবারও পরিবর্তনের আভাস মিলছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন বৃষ্টিপাত কিছুটা কম থাকতে পারে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি বাড়বে। তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, বিশেষ করে ১ অক্টোবরের দিকে বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। তখন আবার দেশে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শনিবার ভোরে ভারতের দক্ষিণ উড়িষ্যা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে এটি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এবং ধীরে ধীরে আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর তুলনামূলক কম সক্রিয়। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুই-একটি স্থানে একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণও হতে পারে।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্যে ২০টিতে শনিবার বৃষ্টির রেকর্ড পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুরে—২৮ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় এ সময়ে মাত্র ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, যা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে আরও তীব্রভাবে।
সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিন দেশে ভ্যাপসা গরমের প্রকোপ কিছুটা বাড়লেও অক্টোবরের শুরুতে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টি হলে আবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। ফলে একদিকে যেমন মানুষকে আপাতত তীব্র গরমের ভোগান্তি সহ্য করতে হবে, অন্যদিকে সামনে আবারও সজীব বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে আশা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাবার্তা/এমএইচ