
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এনবিআরকে দুটি ভাগে ভাগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরিবর্তন কার্যকর হবে। তখন হয়তো এনবিআর নাম থাকবে না, বরং থাকবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও পলিসি বিভাগ— দুটি আলাদা ইউনিট।” তিনি জানান, এ সংস্কার রাজস্ব আদায় ও নীতিমালা প্রণয়নকে আলাদা ব্যবস্থাপনায় আনার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যাতে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়ে।
ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের সঠিকভাবে শনাক্ত করা। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে আদালতের ‘স্টে অর্ডার’ নিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঋণখেলাপি বিষয়ক মামলায় পাঁচ বছর কাটিয়েছেন।”
নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, আর অর্থ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। তবে এর জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন জরুরি।”
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা বললেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা দেবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।”
বাংলাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে রূপান্তরের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কেন সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই স্কিমে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে এবং স্কিম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।
বাংলাবার্তা/এসজে