
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বিমানবন্দর সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিমানটি ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসার পর নির্ধারিত পার্কিং বেতে থামে। যাত্রীদের সঠিকভাবে নামিয়ে নেয়া হয় এবং লাগেজ ওঠানোর জন্য লাগেজ খাঁচা ট্রলি বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় আনা হয়।
তবে দুর্ঘটনার সময় পার্কিংয়ের কাছাকাছি একটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ অভ্যন্তরীণ রুটে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজের ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট বাতাসের কারণে স্থির অবস্থায় থাকা লাগেজ ট্রলিটি স্থানচ্যুত হয় এবং হঠাৎ করেই ধাক্কা মারে পার্কিংয়ে থাকা বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের বাইরের অংশে। তবে বিমানটি যাত্রীশূন্য থাকায় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা বা আঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর জানান, "ট্রলিটি কোনো অবস্থায় চলমান ছিল না, সেটি স্থির অবস্থায় ছিল। ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজের পাখার বাতাসে ট্রলিটি সরে গিয়ে বোয়িং প্লেনটিকে আঘাত করেছে।" তিনি আরও জানান, বিমানের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমান ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ধরনের দুর্ঘটনা বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থায় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ও যাত্রীর সুরক্ষা সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয় হওয়ায় এমন ঘটনা পুনরায় না ঘটার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং দ্রুত সংস্কার করা হবে যাতে বিমানটির সেবা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয়। এছাড়া, লাগেজ অপারেশনের সময় বিমান পার্কিং এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা যাত্রীবাহী বিমানগুলোকে যেকোনো সময় নিঃসন্দেহে ঝুঁকিতে ফেলার একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিমানবন্দরের কার্যক্রমে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নীতিমালা নিশ্চিত করা আবশ্যক, যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে এবং যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ