
ছবি: সংগৃহীত
আজ (২৭ আগস্ট) থেকে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় এই শুল্কে পোশাক, জুতা, রত্ন ও গহনা, আসবাবপত্র, ক্রীড়া সামগ্রী এবং রাসায়নিক পণ্য অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে কার্যকর।
ফার্মাসিউটিক্যালস, কম্পিউটার চীপ এবং কিছু প্রযুক্তি পণ্য এখনও শুল্ক ছাড়ের আওতায় রয়েছে। আগস্টের শুরুতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা এখন ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
ভারতের প্রধান টেক্সটাইল ও পোশাক হাব তিরুপুর, নয়ডা ও সুরাটের কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস (এফআইইও) জানিয়েছে, মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি হবে।
সংগঠনটির সভাপতি এস সি রালহান বলেন, “প্রায় ৫৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রগামী ভারতীয় রপ্তানি, যার পরিমাণ ৪৭-৪৮ বিলিয়ন ডলার, মূল্য অসুবিধার কারণে অপ্রতিযোগিতামূলক হয়ে যাবে। আমাদের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে ‘অনুপযুক্ত, উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভারতের শিল্প ও রপ্তানি খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। মার্কিন শুল্কের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়বে, যা মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।
শুল্কের প্রভাব তিরুপুর, নয়ডা ও সুরাটের কারখানায় সরাসরি পড়েছে। উৎপাদন বন্ধ হওয়ার কারণে শ্রমিক এবং স্থানীয় অর্থনীতিও প্রভাবিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা বিকল্প বাজার খুঁজে বের করার উপরে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মার্কিন বাজারে ভারতের টেক্সটাইল, পোশাক এবং আনুষঙ্গিক পণ্যের জন্য এখন দ্রুত কৌশলগত পরিবর্তন এবং নতুন বাজারে প্রবেশ অপরিহার্য।
বাংলাবার্তা/এমএইচও