
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিপুল সংস্কার আসছে। সব বাসকে একক ব্যবস্থার অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচলরত বাসের কারণে যাত্রীদের প্রতিদিন নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মধ্যরাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকার চলমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, অকার্যকর রুটে চলা অসংখ্য বাসের কারণে যানজট তীব্র এবং প্রতিদিন সৃষ্ট অসুবিধার ফলে বছরের পর বছর ধরে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের হিসাব অনুযায়ী, এ কারণে বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে এবং প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুধু নগরজীবন নয়, দেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করছে।
নতুন ব্যবস্থায় সব বাসকে এককভাবে পরিচালিত করা হবে। কোম্পানিগুলোকে নির্ধারিত রুট ও স্টপেজ মেনে চলতে হবে। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে, রুট শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং ভাড়ায় প্রতারণা বন্ধ হবে। সরকারের আশা, এই পরিবর্তনের ফলে রাজধানীর গণপরিবহন সেবা হবে আরও আরামদায়ক, কার্যকর এবং সময়োপযোগী।
প্রেস উইং জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীদের আর বাসে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হবে না। প্রতিদিন ভাড়ায় প্রতারণার শিকার হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ঢাকার লাখো মানুষ এবার সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাসের একক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার ফলে যানজট, দুর্ঘটনা ও দূর্ভোগ কমবে। এছাড়া, নির্দিষ্ট রুট ও স্টপেজ অনুসরণ করে পরিবহন কার্যক্রম চালালে গাড়ির অপচয় কমবে, পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে এবং শহরের নাগরিক জীবন অনেক বেশি সুবিধাজনক হবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান আশা করছে যে, নারী, শিশু ও প্রবীণ যাত্রীদের চলাচল আরও নিরাপদ হবে। পাশাপাশি, বাস ব্যবস্থার এককীকরণ শহরের পরিপাটি রুট পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও