
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আবারও ক্রীড়া উৎসবের মেজাজ আনছে নেদারল্যান্ডস জাতীয় ক্রিকেট দল। দীর্ঘ এক দশক পর বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকায় অবতরণ করে তারা। এরপর দুপুরেই দলটি সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সফরের মূল আকর্ষণ হলো তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বাংলাদেশ সফর নেদারল্যান্ডসের জন্য বিশেষ। এর আগে তারা ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু এবারের সফরটি অনন্য, কারণ এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যেখানে শুধু নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ অংশ নেবে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ আগস্ট, দ্বিতীয় ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বর এবং শেষ ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর। ম্যাচগুলোতে দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স উপভোগ করতে পারবেন।
নেদারল্যান্ডস স্কোয়াডে তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা হয়েছে। ইনজুরির কারণে রায়ান ক্লেইন ও ফ্রেড ক্লাসেন বাদ পড়েছেন, আর ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন সাকিব জুলফিকার। তাদের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৭ বছর বয়সী ব্যাটার সেডরিক ডি ল্যাং, তরুণ পেসার সেবাস্টিয়ান ব্র্যাট এবং অলরাউন্ডার সিকান্দার জুলফিকার।
নেদারল্যান্ডসের স্কোয়াডে আছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস, নোয়াহ ক্রোয়েস, ম্যাক্স ও’দাউদ, বিক্রমজিত সিং, তেজা নিদামানুরু, সিকান্দার জুলফিকার, সেডরিক ডি ল্যাং, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মেকেরেন, শারিজ আহমেদ, বেন ফ্লেচার, ড্যানিয়েল ডোরাম, সেবাস্টিয়ান ব্র্যাট এবং টিম প্রিঙ্গেল।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশি পিচ ও আবহাওয়া নেদারল্যান্ডসের তরুণ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা বাড়াবে। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যেখানে তারা তাদের প্রতিভা ও কৌশল অনুশীলন করতে পারবে। দর্শকরা প্রত্যাশা করছেন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ এবং দারুণ কৌশলপূর্ণ ক্রিকেট খেলা হবে সিরিজে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও