
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে জয় এনে দিয়ে আবারও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছেন। ম্যাচে বল ও ব্যাট দুইয়ে অবদান রেখে তিনি দলের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতে এসেছে।
শনিবার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করা সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে। শুরুতেই ইতিহাস গড়ে দেন সাকিব। প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক পূর্ণ করেন। এই কীর্তি তাকে প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে এই রেকর্ড স্পর্শ করায়।
এছাড়া, বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৭০০০ রান ও ৫০০ উইকেট অর্জনের রেকর্ডও তার নামে যুক্ত হয়। ১৭তম ওভারে আরও দুই উইকেট নেন কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসির। তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট এবং ক্যারিয়ারে মোট উইকেট সংখ্যা বেড়ে ৫০২।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফ্যালকনস জয় পায় ১৯.৪ ওভারে। ওপেনার জুয়েল অ্যান্ড্রু (২৮ বলে ২৮) ও রাহকিম কর্নওয়াল (১৩ বলে ১৬) দলকে ভালো সূচনা দেন। কারিমা গোর ৪৭ বলে অপরাজিত ৫২ রান করে দলকে জয়েতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সাকিব ১৮ বলে ২৫ রান করে একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন, যা দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করে।
ফাইনাল স্কোর অনুযায়ী, ফ্যালকনস ৭ উইকেটে জয়ী হয়। ম্যাচের পর সাকিবকে ৪৪তম ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাকিবের এই পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “সাকিব আল হাসানের মতো একজন খেলোয়াড়ের উপস্থিতি শুধু দলের জন্য নয়, পুরো লিগের জন্য প্রেরণা। তার বল এবং ব্যাটিং দক্ষতা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।”
বাংলাবার্তা/এমএইচও