
ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় এবং আহতের সংখ্যা ৮৬-এ পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। হামলার ঘটনা সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
রোববার হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার লক্ষ্য ছিল সানার কেন্দ্রে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল সরবরাহকারী অবকাঠামো। হামলার সময় আকাশে অগ্নিগোলক দেখা যায় এবং শহরের কিছু অংশ কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে।
হুতি পরিচালিত সাবা সংবাদ এজেন্সি জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ২০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। এছাড়া হুতি টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, সানার দক্ষিণে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল অবকাঠামোও হামলার শিকার হয়েছে। এই দুটি স্থাপনা আগেও (১৭ আগস্ট) হামলার শিকার হয়েছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছে সামরিক কমপাউন্ড, দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি তেলের ডিপোতে হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হুতির ধারাবাহিক আগ্রাসনের জবাবে ইসরায়েল এই প্রতিহিংসামূলক অভিযান চালিয়েছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, বিমান হামলা “প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেলের ট্যাংকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চালানো হয়েছে। হুতিদের প্রতিটি আগ্রাসনের মূল্য তারা সুদে-আসলে মেটাবে।”
হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানায়, “গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। আমরা লড়াই থেকে পিছু হটব না।”
হামলার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা গাজার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে, যদিও সরাসরি ইসরায়েল স্থল অভিযান চালায়নি।
বাংলাবার্তা/এমএইচও