
ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে জেলা প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ারির পর লুটকৃত সাদাপাথর ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দুই লাখ ঘনফুট পাথর ব্যবসায়ীরা সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে ধোপাগুল এলাকায় দুটি ক্রাসার মিল থেকে ৬০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এভাবে স্বেচ্ছায় ফেরত ও অভিযানে জব্দ পাথর মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ সারমিন জানান, শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধোপাগুলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ধোপাগুলের দুটি ক্রাসার মিল থেকে যথাক্রমে ৫০ হাজার ও ১০ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করা হয়। এছাড়া সাতটি ট্রাকভর্তি ভাঙা পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা এখনও পরিমাপ করা হয়নি। শনিবার রাত থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০টি ট্রাকযোগে ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বাকি ১০ হাজার ঘনফুট পাথরও শীঘ্রই প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, শনিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি পাথর মালিকদের স্বেচ্ছায় ফেরত দিতে সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তার কঠোর হুঁশিয়ারির পর রাত থেকেই ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে ট্রাক ও ট্রলি ব্যবহার করে পাথর সাদাপাথর এলাকায় নিয়ে আসছেন। পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ থেকে নৌকায় করে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থেকে ২০ ট্রাক ও সিলেট সদর থেকে ৮ ট্রাক পাথর সাদাপাথর এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকে সিলেটজুড়ে চিরুণী অভিযান শুরু হবে এবং পাথর লুটকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। লুটকৃত পাথর পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও