
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টানা আট ঘণ্টার চেষ্টা ও প্রার্থনার পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় দুই দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য গেটের তালা খুলে দেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জবি শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রশাসনের কারো জন্য গেটের তালা খুলে দিয়েছি। প্রশাসন এখন কোনো বাধা ছাড়া যেতে পারবে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।”
অন্যদিকে আন্দোলনের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমাদের কর্মসূচি শিক্ষকদের বেয়াদবির জন্য নয়। আমরা শিক্ষকদের অসম্মান করতে চাই না। তবে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আমাদের জীবন দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো। কাউকে অবরুদ্ধ করা বা অপমান করা হবে না।”
তবে শিক্ষার্থীদের তালা খোলার পরও প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠান শেষে দ্রুত বের হননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং উপাচার্যের কক্ষ ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের সব কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করে প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে উপস্থিত থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসন ব্যবস্থায় গৃহীত নীতিমালার সংশোধন এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা।
বাংলাবার্তা/এমএইচও