
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে দেশজুড়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আগেই জানিয়েছি। দেশ বর্তমানে স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব তখন শেষ হবে।”
ড. ইউনূস রোহিঙ্গা ইস্যুর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মিদের নির্যাতন থেকে রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ তার মানবিক দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যারা জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে তাদের থামানো।”
তিনি ৭ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে নিশ্চয়তা দিতে বলেন, যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। এছাড়া প্রস্তাবিত পদক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “সমস্যা মিয়ানমারে সৃষ্টি হয়েছে এবং সমাধানও সেখানেই হবে। আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরানোর জন্য একটি কার্যকর সমাধান বের করা সম্ভব হবে।”
সংলাপে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিন দিনের সম্মেলনের শেষে বিদেশি অতিথিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাবগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও