
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্য ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পিএসসি কর্মকর্তাদের মতে, এবার আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী। মোট ৬৮৩টি প্রভাষক পদের জন্য এই আবেদন সংখ্যার ফলে প্রতিটি পদের বিপরীতে গড়ে ৪৫৬ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবেন।
এই বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয় না। প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই হবে ২০০ নম্বরের লিখিত এমসিকিউ এবং ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হলে তা পিএসসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে।
পিএসসি গত ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং আবেদন শুরু হয় ২২ জুলাই। আবেদন চলেছে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদন করার পর প্রার্থী ফি জমা দিতে পেরেছেন ২৫ আগস্ট রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা, ক্ষুদ্র জাতি, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা। বয়সসীমা রাখা হয়েছে ২১ থেকে ৩২ বছর।
পদসমূহের বণ্টন অনুযায়ী দেখা যায়, সরকারি কলেজে মোট ৬৫৩টি শূন্যপদে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০টি পদ থাকবে। বিভাগ অনুযায়ী শূন্যপদের মধ্যে বাংলা বিভাগের জন্য ৬১টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৫৫টি, ইংরেজি ৫০টি, অর্থনীতি ৪০টি, দর্শন ৩০টি, রসায়ন ৩০টি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৩২টি পদ রয়েছে।
পিএসসি কর্মকর্তারা জানান, এই নিয়োগের মাধ্যমে দেশের সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষক সংকট অনেকাংশে কমবে। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এত বড় আকারের আবেদন প্রমাণ করছে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের চাহিদা এবং প্রভাষক নিয়োগের গুরুত্ব।
এছাড়াও প্রার্থীরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন। এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও