
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট সরবরাহ না করলে তাদের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাইলে চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারি, তবে আমি চাই না। আমরা চাই সমাধান বৈঠকের মাধ্যমে হোক।” তিনি স্বীকার করেছেন, উচ্চ শুল্ক আরোপ হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যাহত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষতি হবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন সম্প্রতি রেয়ার আর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিশোধ হিসেবে চীন বেশ কিছু রেয়ার আর্থ পণ্য ও চুম্বক রপ্তানি নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত করেছিল।
রেয়ার আর্থ হলো ১৫টি মৌলের সমষ্টি, যা প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিন গাড়ি, বায়ু টারবাইন, সেনা সামগ্রী এবং স্মার্টফোনের জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেয়ার আর্থের সরবরাহে যে কোনো বাধা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তি শিল্প ও প্রতিরক্ষা খাতকে প্রভাবিত করতে পারে।
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমাদের শক্তিশালী অস্ত্র হলো শুল্ক। আমরা চাইলে ১০০ বা ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারি। তবে আমরা চাই না, এমন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নিতে।” তার এই মন্তব্য চীনের সঙ্গে তার আগের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করেছে। এই মাসের শুরুতে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক বৃদ্ধির উপর ৯০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি চীনের রেয়ার আর্থ নিয়ন্ত্রণ এবং মার্কিন শুল্ক ব্যবস্থার ওপর প্রভাব প্রদর্শনের উদ্দেশ্য বহন করে। আন্তর্জাতিক বাজারে চুম্বক ও রেয়ার আর্থের মূল্য ওঠানামা করায় প্রযুক্তি খাতের উপর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে বাজার বিশেষজ্ঞরা সতর্কতার সঙ্গে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচও