
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারতের ত্রিমুখী সম্পর্ক ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আসন্ন এক বৈঠককে কেন্দ্র করে ভারতের অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক স্বার্থ বড় ধরনের চাপে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বুধবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করে বলেছেন, যদি ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় ইতিবাচক সমাধান না আসে, তবে ভারতের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক আরও বাড়তে পারে। তার ভাষায়, "সবকিছু নির্ভর করছে বৈঠকের ফলাফলের ওপর।"
সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে লক্ষ্য করে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর আগেও মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। দুই দফা শুল্ক মিলিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।
বেসেন্টের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, যদি রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে বিরোধ সমাধান না হয়, তবে নতুন করে আরও শুল্ক বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভারতকে এই নীতি থেকে সরে আসার জন্য ২১ দিনের সময়সীমা দিয়েছে, যা এখনো শেষ হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন যে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার ‘২৫ শতাংশ সম্ভাবনা’ রয়েছে। তবে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কাজ করার জন্য ‘আন্তরিক চেষ্টা’ চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন পুতিনও।
রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেছেন, "বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কোন অবস্থানে আছি, তা স্পষ্ট করার জন্যই এই আলোচনা ডাকা হয়েছে।"
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্কেত স্পষ্ট—ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ব্যর্থ হলে ভারতকে তৃতীয় দফায় বাড়তি অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি হতে হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান শুধু বাণিজ্য নয়, ভারতের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকেও নতুন পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ