
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ হাজার ৮৩৫ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ৩০.৮৩ বিলিয়ন ডলারের সমান। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা কম হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৮২৭ মিলিয়ন ডলার বা ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। এই পার্থক্যের কারণ হলো, আইএমএফ পদ্ধতিতে রিজার্ভ গণনার সময় গ্রস রিজার্ভ থেকে নির্দিষ্ট কিছু দায় ও প্রতিশ্রুতি বাদ দেওয়া হয়, যা নিট রিজার্ভের কাছাকাছি হিসাব দেয়।
এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে রিজার্ভে প্রায় ৫৮০ মিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়েছে, যা মূলত রপ্তানি আয় বৃদ্ধির প্রবাহ, প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা ও বৈদেশিক সহায়তার অর্থপ্রাপ্তির কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতীত রেকর্ড অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে (৪ আগস্ট) দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের পদ্ধতিতে ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এই ধারাবাহিক বৃদ্ধিকে বিশেষজ্ঞরা দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তির খবর হিসেবে দেখছেন, যদিও এখনও আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ রয়ে গেছে।
নিট রিজার্ভের ক্ষেত্রে বিপিএম-৬ হিসাবপদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক দায়, ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার ও আমদানি এলসির অগ্রিম পরিশোধযোগ্য অর্থ বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভ ধরা হয়। ফলে গ্রস রিজার্ভ ও নিট রিজার্ভের মধ্যে পার্থক্য থেকে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে ভালো থাকায় রিজার্ভে স্থিতিশীলতা আসছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতি আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ