
ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় চলচ্চিত্রে মহাকাব্যিক কাহিনি বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল এস. এস. রাজামৌলীর ‘বাহুবলী’। প্রায় এক দশক আগে ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ এবং ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ শুধু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসই বদলায়নি, বরং গোটা বিশ্বের দর্শকের সামনে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই সিনেমার তৃতীয় অধ্যায় নিয়ে গুঞ্জন চলছিল বহু বছর ধরে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’-এর ঝলক।
প্রকাশিত ঝলকে এক ঝলক দেখা গেছে মাহিষ্মতী রাজ্যের সেই বিশাল সেট, যুদ্ধের মহিমা, রাজদরবারের রাজনৈতিক চক্রান্ত, আর সর্বোপরি প্রভাসের বাহুবলী রূপে ফিরে আসা। দশ বছর পর প্রিয় চরিত্রে প্রভাসকে দেখার সুযোগ পাওয়ায় ভক্তরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন।
‘বাহুবলী: দ্য এপিক’-এর সবচেয়ে আলোচিত দিক হচ্ছে এর দৈর্ঘ্য। এটি ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিট দীর্ঘ একটি সিনেমা। বর্তমান সময়ে যেখানে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার সিনেমা দর্শকরা দেখে অভ্যস্ত, সেখানে এই বিশাল দৈর্ঘ্য এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ। নির্মাতারা বলছেন, এটি শুধু এক্সটেন্ডেড কাট নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ গল্পের অবিচ্ছিন্ন রূপ, যা দর্শকদের মহাকাব্যের ভেতরে নিমজ্জিত করবে।
২০১৫ সালে প্রথম কিস্তি ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ বক্স অফিসে ৬৫০ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছিল। এরপর ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ ব্যবসা করেছিল ১,৭৮৮ কোটি রুপি। সিনেমা হলে এমন রেকর্ড তৈরি করে এটি ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে ওঠে। এবার নির্মাতারা আশা করছেন, নতুন কিস্তি সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, এত বছর অপেক্ষার পর আবারও বাহুবলীর দুনিয়ায় ফিরতে পারার আনন্দ বর্ণনাতীত। অনেকেই লিখছেন, “এটি সিনেমা নয়, এটি এক উৎসব।”
সিনেমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এস. এস. রাজামৌলী আবারও ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় তুলতে যাচ্ছেন। কারণ, এত দীর্ঘ সময় ধরে দর্শককে আবদ্ধ রাখা বিরল ঘটনা। তাই ছবিটির প্রতি আগ্রহ কেবল দক্ষিণ ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও