
ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা ও এস আলম মাসুদ সম্প্রতি দিল্লিতে গোপন বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি।
বিদেশি কূটকৌশল
গোপন সূত্র জানায়, দেশের বাইরে অবস্থানরত পলাতক নেতারা এস আলমের সহযোগিতায় পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এতে রয়েছে:
-
দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি।
-
সাবেক আমলা, পুলিশ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্রয়।
-
আন্তর্জাতিক লবি ও পলিসি মেকারদের প্রভাবিত করা।
-
শ্রমিক ও স্থানীয় আন্দোলন সংগঠন তৈরি।
মক্কা ও মদিনা সফরের আড়ালে
-
মক্কা: ফেয়ারমন্ট হোটেলে পলাতক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক।
-
মদিনা: ‘ইলাফ আল তাকওয়া’ হোটেলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা।
এস আলম মক্কা ও মদিনায় বৈঠকের মাধ্যমে দেশবিরোধী নীলনকশা সাজান।
দিল্লি বৈঠক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা
-
৬ আগস্ট এস আলম দিল্লিতে পৌঁছান।
-
পাঁচ তারকা হোটেল দি ওবেরেই-এ ওঠার পর বৈঠক শুরু।
-
৮ আগস্ট, লুটিয়েন্স ব্যাঙ্গালো জোনে হাসিনার বাসভবনে ৭ ঘণ্টার একান্ত বৈঠক।
-
ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ ও ব্যবস্থাপনা
-
শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ৪,৫০০ কোটি টাকা।
-
এস আলম সম্মত হন, অর্থ ব্যবহৃত হবে:
-
আন্তর্জাতিক লবি ও নীতি প্রভাবিত করা।
-
দেশে নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য।
-
সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্রয়।
-
নেতা ও কর্মীদের জামিনের জন্য।
-
শিল্পকর্মীদের মাধ্যমে আন্দোলন সংগঠন।
-
-
কমিটি পরিচালনা: জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
দিল্লিতে এই গোপন বৈঠক এবং অর্থ লেনদেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ও আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও