
ছবি: সংগৃহীত
ভেষজ উপাদানের মধ্যে মেথি ও জিরার নাম প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। ঘরে রান্নায় যেমন এর ব্যবহার রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্য রক্ষায়ও যুগ যুগ ধরে মানুষ এটি খেয়ে আসছে। আধুনিক কালে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে সকালে খালি পেটে জিরা-মেথি ভেজানো পানি খাওয়ার অভ্যাস।
কেন উপকারী?
⭐ হজমে সাহায্য করে – মেথি ও জিরা ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি বদহজম কমায়, গ্যাস্ট্রিক ও অম্লতা হ্রাস করে।
⭐ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে – মেথির গ্যালাক্টোম্যানান ও জিরার সক্রিয় উপাদান শরীরের ইনসুলিন কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পায়।
⭐ ওজন কমাতে সহায়ক – এতে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি। দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা পায় না। অযথা বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
⭐ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – মেথির সাপোনিনস খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে।
⭐ ত্বক ও চুলের উন্নতিতে সহায়ক – নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, চুল মজবুত হয়।
সতর্কতা আছে
✔ খালি পেটে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
✔ ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে এটি ব্লাড সুগার অতিরিক্ত নামিয়ে দিতে পারে।
✔ গর্ভবতী নারীদের জন্য মেথি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কীভাবে খাবেন?
-
রাতে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মেথি ও এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন।
-
সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন।
-
সপ্তাহে ৩–৪ দিন খেলেই কার্যকর, প্রতিদিন খাওয়ার দরকার নেই।
জিরা-মেথি পানি নিঃসন্দেহে একটি উপকারী ভেষজ পানীয়। তবে এটি কোনো ওষুধ নয়। জীবনযাপনে সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এবং পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করলেই এর সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া সম্ভব।
বাংলাবার্তা/এমএইচও