
ছবি: সংগৃহীত
শুকনো ফলের তালিকায় কিশমিশের নাম প্রথম সারিতেই থাকে। আঙুর শুকিয়ে তৈরি হওয়া কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি কালো আঙুর থেকে তৈরি কালো কিশমিশের উপকারিতা আরও বহুগুণ বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত সকালে খালি পেটে কয়েকটি কালো কিশমিশ খেলে শরীরের নানা অসুবিধা কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কালো কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও মিনারেলস। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। প্রতিদিন সকালে অভ্যাস করলে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ত্বক ও সৌন্দর্যে প্রভাব
ফাইবারসমৃদ্ধ কালো কিশমিশ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল। বিশেষ করে ব্রণ, অ্যাকনে কিংবা দাগের সমস্যা থাকলে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা দ্রুত বোঝা যায়।
চোখের সুরক্ষা
ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ এই শুকনো ফল চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং বয়সজনিত ছানি পড়া কিংবা দৃষ্টিহীনতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
হাড়, চুল ও রক্তস্বাস্থ্য
প্রচুর প্রোটিন ও আয়রন থাকায় কিশমিশ হাড় ও পেশি মজবুত করে, অ্যানিমিয়া দূর করে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়। একইসঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে। চুল পড়া কমাতে এবং চুল ঘন ও মজবুত করতে এর ভূমিকা অনন্য।
হজমশক্তি বাড়ায়
যাদের নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কালো কিশমিশ প্রাকৃতিক সমাধান। প্রতিদিন খালি পেটে ৬–৭টি কিশমিশ খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীর হালকা লাগে।
ক্ষুধা নিবারক ও শক্তিদায়ক
অনেক সময় অতিরিক্ত ক্ষুধা পেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলি। সেখানে কিশমিশ একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি খেলে পেট ভরার অনুভূতি আসে এবং একই সঙ্গে শরীরে শক্তি জোগায়।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, প্রতিদিন খালি পেটে কালো কিশমিশ খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।
বাংলাবার্তা/এমএইচও