
ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৩০ নভেম্বর, জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র। তবে এর আগে ১ নভেম্বর চূড়ান্ত সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনাও রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ভোটার ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসি বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম চালিয়েছে। এতে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন, আর মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন। ফলে, হালনাগাদের পর দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
-
নতুন রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক নিবন্ধন ১৪ সেপ্টেম্বর, চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন ৩০ সেপ্টেম্বর।
-
সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ ১৫ সেপ্টেম্বর।
-
জিআইএস ম্যাপ প্রকাশ ৩০ সেপ্টেম্বর।
-
জেলখানার কারাবন্দিদের কাছে ব্যালট পৌঁছবে ভোটের দুই সপ্তাহ আগে।
-
আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, যদি ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হয়, তবে তফসিল ঘোষণা করতে হবে ভোটের দুই মাস আগে। অর্থাৎ, ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৭ আগস্ট নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচনের রোডম্যাপ। এটি ২৮ আগস্টে ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সাধারণত ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেহেতু নভেম্বরের শেষে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে, তাই তফসিলও সম্ভবত এর কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই ধাপগুলো দেখাচ্ছে যে, ইসি প্রতিটি পর্যায়ে সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভোটার তালিকার হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা — এসব বিষয় নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, হালনাগাদ তথ্য অনুসারে নির্বাচনজ্ঞানীদের কাছে দেশে ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার তথ্য নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতির দিক নির্দেশ করছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও