
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সবচেয়ে আলোচিত ইউনিট গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম। রাজধানীতে ঘটে যাওয়া বড় অপরাধ, সন্ত্রাস, মাদক কারবার, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-অপরাধ তদন্তে ডিবি পুলিশের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই নিয়োগকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, এনডিসি স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বুধবার (২৭ আগস্ট) এই পদায়ন নিশ্চিত করা হয়। এর আগে তিনি হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে আনা হয়েছে।
মো. শফিকুল ইসলাম পুলিশ সার্ভিসের ১৮তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। প্রায় আড়াই দশকের কর্মজীবনে তিনি মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশেষায়িত ইউনিট পর্যন্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৯ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেওয়ার পর প্রথম পোস্টিং পান লক্ষ্মীপুর জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার।
নতুন ডিবি প্রধানের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে সততা, দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) অর্জন করেছেন।
রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমন, সন্ত্রাসী চক্র মোকাবিলা ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখন ডিবি পুলিশের ভূমিকা আরও বেশি চ্যালেঞ্জপূর্ণ। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র কারবার নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা কার্যক্রমই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আইনশৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবে।
সম্প্রতি পুলিশের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ১৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে ডিএমপি যেভাবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় দৃঢ়তা দেখাচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ডিবি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণকে অনেকেই বড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ