
ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু করছে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন শুক্রবার এই উদ্যোগ উদ্বোধন করবেন। প্রশিক্ষণ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এতে কেন্দ্র ও মাঠ পর্যায়ের ৯–১০ লাখ কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রাক্কলন অনুযায়ী ব্যয় হবে প্রায় শত কোটি টাকা।
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্ব, করণীয় ও আচরণবিধি সম্পর্কে সকলকে পর্যাপ্ত জ্ঞান প্রদান করা। নির্বাচনী আইন-নিয়ম সংস্কারের পর প্রস্তুত হবে ইসির নির্বাচনী ম্যানুয়াল, যা সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ভিত্তি হবে।
ইসির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, “কোর ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুক্রবার শুরু হচ্ছে। এরপর ভোট পরিচালনার ওপর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ৫–১০ জনকে ‘মাস্টার ট্রেইনার’ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারা দলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মোট ১১ হাজার কর্মীকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রশিক্ষণের পরিসর:
কোর ট্রেইনার: ৮০ জন
টিওটি প্রশিক্ষণ: ১৫৩৪ জন
উপজেলা/থানা ভিত্তিক টিওটি: ২১০০ জন
ভোট পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ: ২২৬ জন
ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি ব্রিফিং: ৩০০ জন
জুম অ্যাপে হাকিমদের প্রশিক্ষণ: ৮০০ জন
অনলাইন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) কর্মকর্তা: ৫৭৫ জন
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী: ৫০০ জন
তথ্য প্রযুক্তি সহকারী প্রোগ্রামার: ৬৫০ জন
ওএনএসএস অন্যান্য প্রশিক্ষণ: ১৭০০ জন
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ব্রিফিং: ১১৮৮ জন
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রশিক্ষণ: ৬৬৩ জন
রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস): ৫৯৬ জন
রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার: ৬৭২ জন
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী: ৭৫ জন
নির্বাচনী অবহিতকরণ ব্রিফিং: ২৫০ জন
কেন্দ্রীয় সাংবাদিক প্রশিক্ষণ: ২৪০ জন
দেশি পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণ: ১০০ জন
মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক: ৬৩৯০ জন
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ: ১০ লাখ ৮৯ হাজার
পোলিং এজেন্ট মাস্টার ট্রেইনার: ১০,৮৫০ জন
আইন-শৃঙ্খলা কর্মকর্তা: ৫০,০০০ জন
নির্বাচন কমিশনের এই প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে, সব ধরনের ভোট পরিচালনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের এ প্রশিক্ষণ ভোটের প্রস্তুতি আরও শক্ত করবে এবং ভোটগ্রহণকে আরও নিরপেক্ষ ও কার্যকর করবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও