
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর শামীম হাসান সরকার সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন। কয়েক মাস আগেই সহ-অভিনেত্রীকে মারধরের অভিযোগে তিনি বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েন। বিষয়টি মিডিয়াজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তখন অনেকেই তার পাশে দাঁড়াননি। সেই সময় নীরব থেকেছেন সহকর্মীদের বেশিরভাগ। তবে সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে শামীম জানালেন, অন্যের দুঃসময়ে তিনি আনন্দ পান না।
রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক দীর্ঘ পোস্ট দেন শামীম। সেখানে তিনি লিখেছেন—“অন্যের বিপদে পড়া দেখে আমার আনন্দ লাগে না। সে যেই হোক না কেন। তবে যিনি বিপদে পড়েন, তার উচিত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা। কারণ, এ সময়েই তিনি বুঝতে পারবেন কে তার বন্ধু, আর কে কেবল স্বার্থের কারণে কাছে এসেছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন— “এমন পরিস্থিতি মানুষকে স্বচ্ছ ধারণা দেয়। পরবর্তীতে কারও দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যে এই শিক্ষা নিতে পারে, সে ভবিষ্যতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অন্যের বিপদে আমার খুশি হয় না, বরং আমি চাই মানুষ বিপদে ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যাক।”
পোস্টে শামীম লেখেন, “সবার জীবনে কর্মফল আছে। আমি যেমন ভুগেছি, আপনিও ভোগ করবেন, অন্য সবাইও করবে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। পৃথিবীর জীবন আসলে খুব ছোট, এতটাই ছোট যে আমরা নিজেরাও জানি না। অন্যের দিকে তাকানোর মতো সময় আসলে কারও নেই। তাই নিজের ভুল শুধরে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখলে ও নিজের ভুল সংশোধন করলে সফলতায় পৌঁছানো সম্ভব। আমি নিজের জীবনে সেই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে চলছি। আমার মতো করে অন্যরাও শিখে যাক। আল্লাহই একমাত্র ভরসা।”
শামীম বলেন, “অকারণে মিথ্যা অভিযোগের বিপদে আমার মতো মিডিয়ার আর কোনো অভিনেতা পড়েনি। তবে আমি সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এখন যেকোনো ঝড় মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারি।”
তার এই পোস্ট প্রকাশের পর ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়। কেউ তাকে শক্ত থেকে চলার পরামর্শ দিয়েছেন, আবার কেউ পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সমালোচনা করেছেন। তবে বেশিরভাগ ভক্তই তার ইতিবাচক বার্তাকে প্রশংসা করেছেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচও