
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ১৫ এপ্রিল রাতে প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮৪.২৫, এবং কাটমার্ক ছিল ৪৪.৫০। ভর্তির জন্য মোট সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ১২৯.৭৭, যার মধ্যে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরও যুক্ত করা হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “এ বছর মোট ৮০ হাজার ৮৯০ জন শিক্ষার্থী কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৬৩। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৮৬ শতাংশ।”
এদিকে, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর ছিল ৪০, এবং প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর ও ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ১০০ নম্বর ছিল মূল ভর্তি পরীক্ষা, ২৫ নম্বর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ফলাফলের ভিত্তিতে এবং ২৫ নম্বর এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ফলাফলের ভিত্তিতে যোগ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল, শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একযোগে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, এবং তাদের মধ্যে ৯১ হাজার ৩৭ জন প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
কৃষি গুচ্ছে অংশগ্রহণকারী ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের আসন সংখ্যা নিম্নরূপ:
-
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ১১১৬
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৪৩৫
-
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৭০৫
-
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়: ২৭৫
-
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৫৮০
-
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ১৫০
-
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ৪২৩
-
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৯৯
-
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৮০
এ বছর কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৩ হলেও আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, যা ভর্তি পরীক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং কৃষি বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর, যেসব শিক্ষার্থী সফল হয়েছেন তারা এখন তাদের পরবর্তী পর্বের প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন, এবং যারা সফল হননি, তারা পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ