
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে, এবং শুধুমাত্র বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইট ব্যবহার করেই আবেদন করতে হবে বলে এক জরুরি নির্দেশনায় জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি বিশেষভাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যাতে কেউ কোনো ‘ফেক’ বা ভুয়া ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত না হন।
ভুয়া ওয়েবসাইটে লেনদেন করলে বোর্ড দায় নেবে না
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সরকারি ওয়েবসাইট ছাড়া কোনো মাধ্যমে আবেদন, তথ্য প্রদান বা অর্থ লেনদেন করলে তার দায় শিক্ষা বোর্ড নেবে না। যারা প্রতারিত হবেন, তারা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে এ ভুল করবেন বলে উল্লেখ করে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত ওয়েবসাইট এবং আবেদন প্রক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড নির্ধারিত একটি ওয়েবসাইট থাকবে (যেমন: xiclassadmission.gov.bd) যেখানে বিস্তারিত নির্দেশিকা পাওয়া যাবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা কলেজের আসনসংখ্যা দেখে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দক্রম অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন।
তিন ধাপে আবেদন ও ভর্তি কার্যক্রম
এর আগে গত ২৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
এই নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও তিন ধাপে অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রথম ধাপ: আবেদন শুরু ৩০ জুলাই, চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।
ফল প্রকাশ: ২০ আগস্ট রাত ৮টায় প্রথম ধাপের ফল ঘোষণা।
পরবর্তী ধাপ: আরও দুই দফায় আবেদন ও নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষে
শ্রেণি কার্যক্রম শুরু: আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস।
অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ
শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন সন্তানদের ভর্তির বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকেন এবং নিশ্চিত হন যে সঠিক ওয়েবসাইট ও সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও বলা হয়েছে, তারা যেন অভিভাবকদের সচেতন করেন এবং কোনোভাবেই মধ্যস্থতাকারীদের জড়িত না করেন।
সার্বিকভাবে বলা যায়, নিরাপদ ও ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভর্তি নিশ্চিত করতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলেও প্রযুক্তিগত প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকা আরও বড় দায়িত্ব। বোর্ড কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী—সবাইকে এই দায়িত্বশীলতাই নিতে হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ