
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হতে যাচ্ছে ৩০ জুলাই থেকে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে তিন ধাপে আবেদন করতে পারবে। এই ধাপগুলো যথাক্রমে ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট, ২৮ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট, এবং ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুল কুদদুস একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছেন। নীতিমালা অনুযায়ী এবারও কোনো পরীক্ষা বা লটারির মাধ্যমে নয়, বরং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষার্থীদের কলেজ পছন্দক্রমের ভিত্তিতেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তবে ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কিছু স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নেবে।
আবেদনের সময়সূচি ও পদ্ধতি:
প্রথম ধাপে আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই এবং চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ আগস্ট আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। ১৩ ও ১৪ আগস্ট শুধুমাত্র খাতা চ্যালেঞ্জে ফলাফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন করা যাবে। এরপর ১৫ আগস্ট কলেজ পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। ২০ আগস্ট রাত ৮টায় প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে এবং ২২ আগস্ট প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি নিশ্চয়ন করবেন।
যারা প্রথম ধাপে ভর্তি নিশ্চয়ন করবেন না, তারা দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারীদের ফল ২৮ আগস্ট প্রকাশিত হবে এবং ২৯ ও ৩০ আগস্ট ভর্তি নিশ্চয়ন করা হবে। এরপর ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হবে। একই মাসের ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মাইগ্রেশন ও তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত ভর্তি নিশ্চয়ন করা যাবে। ৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আবেদন ফি বৃদ্ধি:
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আবেদন ফি ১৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২২০ টাকা করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭০ টাকা বেশি। আবেদন ফি জমা দিয়েই শিক্ষার্থী আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে।
কোটা ও ভর্তি নিয়মাবলী:
একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য থাকবে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এ কোটায় সুযোগ পাবেন, নাতি-নাতনিদের জন্য কোনো কোটার ব্যবস্থা নেই। যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে ওই আসন শূন্য রাখা যাবে না; বরং মেধার ভিত্তিতে সাধারণ প্রার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
পছন্দক্রমে কলেজ নির্বাচন:
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করে সর্বনিম্ন পাঁচটি থেকে সর্বোচ্চ দশটি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিতে পারবে। একাধিক কলেজে আবেদন করলেও তাদের মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির সুযোগ পাবেন। এই ভর্তির সব কার্যক্রম ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে সম্পন্ন হবে।
ক্লাস শুরু:
সমস্ত ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে এই নিয়মনীতি অনুসরণে সুবিধাজনক, স্বচ্ছ ও সমান সুযোগভিত্তিক ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ