
ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের দুর্গম রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর এক সফল অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) এর কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, এ অভিযান চলমান রয়েছে এবং এই ঘটনায় আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিচিত তার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক সময় সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সেনাবাহিনী এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে। আজকের অভিযানটি তারই অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়।
আইএসপিআর জানায়, অভিযানে ৩টি এসএমজি (সাব-মেশিন গান), ১টি রাইফেলসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই সদস্যের একজন কেএনএর কমান্ডার ছিলেন, যার নাম সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযানটি শুরু হয় সকালে এবং এখনও পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ এই অভিযানকে সন্ত্রাস দমন ও এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন।
কেএনএ হলো একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, যা মূলত বান্দরবান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার কিছু উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সক্রিয়। তারা নিজেদের স্বায়ত্তশাসন এবং পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে তাদের সংঘাত চলছে, যার ফলে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে।
বান্দরবান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে থাকে। এর ফলে এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করছে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় অভিযানগুলো অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।
আইএসপিআর আজকের ঘটনার ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানায়, অভিযানে সেনাবাহিনী সদস্যরা পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি নিয়ে অংশ নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে আরও একটি সফল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি, পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাহাড়ি এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ