
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় রাজনীতিতে নবাগত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও সুসংহত ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে গঠন করেছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেল—সংস্কৃতি সেল এবং প্রচার ও প্রকাশনা সেল। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এই দুটি সেলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়ে সম্প্রতি পৃথকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে সেল গঠনের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়েছে।
নতুনভাবে গঠিত সংস্কৃতি সেল-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লুৎফল রহমান। তিনি দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একজন সুপরিচিত সংগঠক এবং নাট্যকর্মী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দা নীলিমা দোলা, যিনি সাহিত্য ও পারফর্মিং আর্টসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
এছাড়া সংস্কৃতি সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও ৬ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, যারা দলের সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশে ভূমিকা রাখবেন।
দলের বার্তা, আদর্শ ও কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রচার ও প্রকাশনা সেল গঠনের উদ্যোগ নেয় এনসিপি। এ সেলের সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। তিনি মিডিয়া পরিচালনা ও জনসংযোগ কার্যক্রমে অভিজ্ঞ একজন রাজনৈতিক কর্মী।
এই সেলের সহ-সম্পাদক হয়েছেন এম এম শোয়াইব, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারকাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৭ জন তরুণ ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক কর্মী। তারা হলেন: খান মুহাম্মদ মুরসালীন, মো. আব্দুল মুনঈম, সৈয়দা নীলিমা দোলা (তিনি একইসঙ্গে দুটি সেলে যুক্ত), এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আরজু আহমাদ, আসিফ মোস্তফা জামাল এবং খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল।
নতুন সেল গঠনের মাধ্যমে এনসিপি মূলত তাদের সাংগঠনিক ভিতকে শক্তিশালী করতে চাইছে। দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে দলীয় পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এই সেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দলের অভ্যন্তরে নতুন প্রজন্মের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তি, কর্মপন্থায় পেশাদারিত্ব, এবং প্রচারকাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এনসিপিকে আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হবে বলেই আশা করছেন দলের নেতারা।
এনসিপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, এই সেল দুটির কার্যক্রম নিয়মিত মূল্যায়ন করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে আরও বিভাগ বা ইউনিট গঠন করা হতে পারে। দলের সাংগঠনিক সম্প্রসারণ ও সর্বস্তরে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এনসিপি ইতোমধ্যেই তরুণ নেতৃত্বের বিকাশ, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ এবং গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংস্কৃতি ও প্রচার সেলের সংযোজন দলের সেই লক্ষ্যপূরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে দলটির নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ