
ছবি সংগৃহীত
রাত ১টার দিকে পাওয়া ফলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী- ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ১৮ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ২৫ ভোট।
এদিকে ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের (টেবিল ঘড়ি) ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রের অস্থায়ী বুথ বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন তিনি। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তাকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএমে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ রেজাল্ট পেয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো ফল প্রকাশ করা হয়নি। দিনের ভোটের ফলাফল দিনেই দেওয়া ভালো। আমরা রেজাল্টটা দ্রুত চাই। রাতে সন্ত্রাসী কাজ করবে সেসব কাজ কোনোভাবেই সাপোর্ট করবো না।
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না কেন দেরি করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতেই আমি এখানে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসেছি।
ফল ঘোষণায় দেরিতে ক্ষুব্ধ জাহাঙ্গীর
ইভিএমের মূল শিট দেখাতে হবে দাবি করে তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা হাজার হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৮০টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট।
সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ শোনা যায়। প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে।
সিটি কর্পোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩৩৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।