
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে পরিচালিত সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোর্সে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য এই নতুন ভাতা প্রযোজ্য হবে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভাতার হার গ্রেড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে, যা সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে যুগ্ম-সচিব মো. ফেরদৌস আলম স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা তাদের চাকরির গ্রেড অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
নবম গ্রেড ও তার ওপরের পর্যায়ের কর্মকর্তারা কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৮০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্তকালীন ১ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। অপরদিকে দশম গ্রেড থেকে নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৬০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্ত থাকার সময় ৭০০ টাকা ভাতা পাবেন।
পরিপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
-
বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ভাতা ব্যয় করতে হবে; অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না।
-
ব্যয়ে যেকোনো আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
-
ব্যয় নিজস্ব রিসোর্স সিলিংয়ের (সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
-
আর্থিক অনিয়ম হলে, সেই দায়িত্ব বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষের ওপর থাকবে।
এর আগে ১৪ আগস্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই সময় প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রশিক্ষকদের ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তর আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য বক্তা ও প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্ম-সচিব ও তার ওপরের পর্যায়ের প্রশিক্ষকের প্রতি ঘণ্টার সম্মানী ৩ হাজার ৬০০ টাকা, আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপ-সচিব এবং তার নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা গ্রেড-৯ থেকে এর ওপরের কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা এবং গ্রেড-১০ থেকে নিচের কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, এই ভাতা শুধুমাত্র নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য প্রযোজ্য হবে।
-
মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণে এটি প্রযোজ্য হবে না।
-
প্রশিক্ষণ দিনের পুরো সময় না হলে দুপুরের খাবারের জন্য কোনো ব্যয় করা যাবে না।
-
প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত প্রশিক্ষণে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
-
গ্রেড বলতে মূল গ্রেড বোঝানো হয়েছে।
নতুন ভাতা হার আদেশ জারির দিন থেকে কার্যকর হবে এবং সরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করবে।
সরকারি প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণার্থীদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণে উৎসাহিত হন। পাশাপাশি এটি সরকারি সংস্থাগুলোতে প্রশিক্ষণের মান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ