
ছবি: সংগৃহীত
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা পাওয়া নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী সাদিয়া আয়মান এখন নিজের অভিনয়গুণে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছেন দর্শকমহলে। এক সময় ‘তাকদীর’ ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, বর্তমানে তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি মডেল হিসেবেও ব্যস্ত সময় পার করছেন। যুক্ত হয়েছেন একাধিক ব্র্যান্ডের প্রচারণামূলক কাজে। সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিয়া কথা বলেছেন তার ঈদ প্রস্তুতি, মেকআপ ব্যবহারে অনীহা এবং শপিংয়ের রুচি নিয়ে।
সাদিয়া জানান, ঈদের সময়টা বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটেছে। মূলত, বিভিন্ন প্রমোশনাল কাজ ও শুটিংয়ের কারণে তিনি নিজের জন্য আলাদা করে শপিংয়ের সময় বের করতে পারেননি। তার ভাষায়—
‘ঈদে শপিং করা হয়নি, কারণ খুব ব্যস্ত ছিলাম। উৎসব উপলক্ষে একটার পর একটা প্রমোশনে অংশ নিতে হয়েছে।’
তবে অভিনয়ের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও সাদিয়া বরাবরই সহজ-সরল এবং রুচিশীল লাইফস্টাইল পছন্দ করেন। তিনি নিজেই এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন নিজের সৌন্দর্যচর্চা ও মেকআপ নিয়ে ভাবনা।
সাদিয়া আয়মান জানান, তিনি মেকআপ করার চেয়ে মেকআপ না করতেই বেশি স্বস্তি বোধ করেন।
‘খুব তাড়াতাড়ি মেকআপ করতে পারি, তবে মেকআপ না করলেই বেশি খুশি হই। কারণ এটা আমার কাছে খুব কষ্টসাধ্য লাগে। মেকআপ করতে ভালো লাগে না। তার ওপর মেকআপের সবকিছুই এখন খুব দামি। ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক—সবকিছুই ব্যয়বহুল।’
এই অভিনেত্রীর মতে, পরিপাটি থাকতে মেকআপ জরুরি হলেও, ব্যক্তি পর্যায়ে তার পছন্দ স্বাভাবিক সৌন্দর্য। সেজন্য মেকআপে জৌলুশ দেখানোর চেয়ে নিজেকে সহজভাবে উপস্থাপন করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করেছেন সাদিয়া। জানালেন, থাইল্যান্ডের দোকানগুলো তার বেশ পছন্দের। দেশ-বিদেশের নানা শুটিং বা ঘুরতে যাওয়ার সময় কোথাও না কোথাও থেকে কিছু না কিছু কেনেন তিনি।
‘থাইল্যান্ডে অনেক কিছু পাওয়া যায়। দেশের বাইরে যেখানেই যাই, সেখান থেকে কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসি। তবে গত ৬-৭ মাসে শপিং করিনি, শুধুমাত্র ঈদের সময় ছাড়া।’
সাক্ষাৎকারে স্পষ্টতই ধরা পড়ে, সাদিয়া আয়মান বাহ্যিক চাকচিক্য নয়, বরং পরিমিত জীবনধারায় বিশ্বাস করেন। অভিনয়ে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি।
অভিনয়ের বাইরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও, তার স্টাইল স্টেটমেন্টে নেই অতি কৃত্রিমতার ছাপ। নিজের মতো করে বাঁচা, নিজের মতো করে সাজা এবং কাজের মধ্যে দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করাকেই জীবনের লক্ষ্য হিসেবে দেখেন এই তরুণ শিল্পী।
ওয়েব সিরিজ, বিজ্ঞাপন, নাটক—নানা মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান সুসংহত করছেন সাদিয়া। দর্শকপ্রিয়তা ও ব্র্যান্ডগুলোর আগ্রহ দেখে বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিনে আরও বেশি পরিসরে তাকে দেখা যাবে পর্দায়। তবে নিজের অনাড়ম্বর পছন্দ, খোলামেলা বক্তব্য আর সরলতা দিয়ে ইতোমধ্যেই আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি।
সাদিয়া আয়মানের মতো শিল্পীরা তাদের স্বকীয়তায় বিশ্বাস রেখে যেভাবে মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন, তা শুধু অভিনয়ের জগতে নয়—চরিত্র, সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়েও সমাজে একটি নতুন বার্তা দিচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ