
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ২৩ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এফসিএল কনটেইনারে চারগুণ স্টোররেন্ট স্থগিত থাকবে। এর ফলে ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি এলেও স্থগিতাদেশ খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
কেন এ সিদ্ধান্ত?
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রফতানির প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার জট লেগেই থাকে। এতে শুধু আমদানিকারক নয়, রফতানিকারকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এ কারণে চলতি বছরের মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, কমলাপুর আইসিডি ও পানগাঁও আইসিটিতে চারগুণ স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল—অতিরিক্ত সময় কনটেইনার ইয়ার্ডে ফেলে রাখা নিরুৎসাহিত করা। কিন্তু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি ছিল, অতিরিক্ত এই ভাড়া আমদানিকারকদের অযথা চাপ সৃষ্টি করছে।
অবশেষে তাদের অনুরোধ বিবেচনা করে সাময়িকভাবে এই আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের মতামত
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের এক সদস্য বলেন, “আমরা চাই দ্রুত ডেলিভারি হোক। কিন্তু নানা কারণে অনেক সময় কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বিত হয়। তখন চারগুণ স্টোররেন্ট বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। স্থগিতাদেশ ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক।”
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, “বন্দরের সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে আমদানিকারকদেরও সময়মতো কনটেইনার সরাতে হবে, নাহলে জট কমবে না।”
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বন্দর একটি দেশের বাণিজ্যচক্রের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে অতিরিক্ত খরচ হলে তার প্রভাব পড়ে আমদানি পণ্যের দামে। তারা বলছেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রয়োজন।
একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, “বন্দরের সমস্যা সমাধানে শুধু ফি বাড়ানো বা কমানো নয়, দক্ষ মানবসম্পদ, আধুনিক প্রযুক্তি এবং সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আসল সমাধান।”
কী হতে পারে সমাধান?
-
ইয়ার্ড ও টার্মিনাল সম্প্রসারণ
-
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া সহজ করা
-
রেল ও নদীপথ ব্যবহার বাড়ানো
-
আমদানিকারক ও রফতানিকারক উভয়ের সচেতনতা বৃদ্ধি
চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, “স্থগিতাদেশ সাময়িক সমাধান। আমাদের মূল লক্ষ্য দ্রুত ডেলিভারি ও কার্যক্রমকে গতিশীল রাখা।”
বাংলাবার্তা/এমএইচও