
ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ‘এ’ দল বর্তমানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজে দুইটি জয়ে থাকার পরও শেষ তিন ম্যাচে ধারাবাহিক হারের কারণে কাগজে কলমে যদিও সেমিফাইনালের সুযোগ টিকে আছে, বাস্তবে পরিস্থিতি বাংলাদেশের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন।
বুধবার বাংলাদেশ ‘এ’ দল মেলবোর্ন স্টার্স একাডেমির সঙ্গে খেলার সময় তিন উইকেটে হেরে চরম চাপের মধ্যে পড়ে। ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৫৬ রান করতে সক্ষম হয়। তবে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করতে পারেননি।
যদিও ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট সফল হননি, বোলাররা এক পর্যায়ে দলকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। হাসান মাহমুদ এবং তার সতীর্থরা একশ রানের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জোনাথন মারলো এবং ক্রিশ্চিয়ান হোয়ের বিপুল ৬৫ রানের অংশীদারিত্ব ম্যাচের সমীকরণ সম্পূর্ণভাবে বদলে দেয়। জোনাথন মারলোর ৩৮ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস স্টার্স একাডেমিকে নিশ্চিত জয় এনে দেয়।
বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে হলে শনিবার অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির বিরুদ্ধে কেবল জয়ই যথেষ্ট নয়। রান রেটের জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে। এছাড়া অন্য দলগুলোর ফলও বাংলাদেশের পক্ষে যেতে হবে। অন্যদিকে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ফল বাংলাদেশের অনুকূলে না হয়, তবে শেষ ম্যাচের আগেই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা তৈরি হবে।
পাঁচ ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের রান রেট বর্তমানে -০.৫৬১, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা। সিরিজের শীর্ষে রয়েছে শিকানো কিংসমেন, যারা পাঁচ ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে। চারটি দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ছয় পয়েন্ট নিয়ে কিন্তু শেষ ম্যাচে তাদের জয়ই সমীকরণ ঠিক করার একমাত্র উপায়।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পারফরম্যান্স বিশেষত ব্যাটিং বিভাগে সমালোচনার মুখে। ধারাবাহিক ম্যাচে ফিফটি করতে ব্যর্থ হওয়া ব্যাটসম্যানরা দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছেন। তবে বোলারদের কিছুটা অবদান এবং খেলায় মানসিক দৃঢ়তা দলের ভেতরে আশা জাগিয়ে রেখেছে। শনিবারের ম্যাচে জয় ছাড়া সেমিফাইনালের সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত।
বাংলাদেশ যুবাদের শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ইতিমধ্যেই তাদের সেমিফাইনাল স্বপ্ন ঝুঁকির মুখে। শেষ পর্যন্ত কেবল জয় নয়, বরং বড় রানের ব্যবধান এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের উপরও তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে। মাঠের বাইরে থাকা সমর্থক এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছে এটি রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার খেলা হয়ে উঠেছে, যা শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের যুবাদের সেমিফাইনালে ওঠার ভাগ্য।
বাংলাবার্তা/এমএইচ