
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি হলেও এখনো পর্যন্ত কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “সরকারের উপদেষ্টারা হয়তো সুযোগ পেলে হাঁস-মুরগি খেয়ে আরাম করতে পারবেন, কিন্তু জনগণ দুর্ভিক্ষে কাতর হলে কী করবে? সাধারণ মানুষের খালি পেটের সঙ্গে কোনোভাবে রাজনীতি করা যায় না।”
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে রিকশা ও ভ্যানগাড়ি চালকদের মধ্যে বৃষ্টির পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কর্মসংস্থান ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। ফলে জনগণ ক্রমশ সংকটে পড়ছে। কর্মসংস্থান না থাকলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তখন জনগণ খাদ্যের জন্য কাতরাবে।”
তিনি বলেন, “সরকার আন্তরিক নয়, এমন নয়। কিন্তু আন্তরিকতা দিয়ে শুধু হবে না, সঠিক নীতি ও পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কর্মসংস্থান না থাকায় সেটা টেকসই হচ্ছে না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “মানুষের পেটে ভাত না থাকলে, ক্ষুধা যখন তীব্র হবে, তখন রাজনৈতিক অর্জন ধরে রাখা যাবে না। তাই অবিলম্বে সরকারকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্যোগী হতে হবে।”
৫ আগস্টের পর যেসব রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে তা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “অপচেষ্টা কিংবা মতানৈক্য তৈরি করে যেন ১৫-১৬ বছরের দুর্বিষহ অতীত ফেরত না আসে। এ জন্য সব দলের ঐক্য জরুরি। আমরা আর হাসিনার পরিবারের রাজত্বের পুনরাবৃত্তি চাই না।”
তিনি জুলাই সনদ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। বলেন, “জুলাই সনদের বিষয়ে যদি কোনো আইন বা সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয়, সেটা করবে নির্বাচিত সংসদ। কেউ কেউ আগেই গণভোট চাচ্ছেন। কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ ধরনের পরিবর্তনের অধিকার অন্য কারো নেই।”
এসময় তিনি সতর্ক করে দেন, “সরকার যদি দ্রুত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারে, তাহলে আসন্ন নির্বাচন বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।”
বাংলাবার্তা/এমএইচও