
ছবি: সংগৃহীত
দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া ৩ থেকে ৫ বছর স্থগিত করার জন্য। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন: চ্যালেঞ্জেস অ্যাহেড’ সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান লিখিত বক্তব্যে সতর্ক করেছেন, দ্রুত উত্তরণ অর্থনীতি ও রপ্তানি খাতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য প্রধান বাজারে ১২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সুনিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে রপ্তানি ৬ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এলডিসি সুবিধা বন্ধ হলে দেশের রপ্তানিতে নানা চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। রপ্তানি ভর্তুকি ও ট্রিপসের শিথিল নিয়ম বাতিল হবে, ওষুধ খাতে কঠোর পেটেন্ট আইন কার্যকর হবে এবং উৎপাদন খরচ ও কমপ্লায়েন্স ব্যয় বেড়ে যাবে। তৈরি পোশাক খাত, যা দেশের মোট রপ্তানির ৮১ শতাংশের বেশি দান করে, শুল্কমুক্ত সুবিধা হারানো, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং কঠোর কমপ্লায়েন্সের কারণে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে।
ঋণক্ষেত্রেও চাপ বাড়বে। সহজ শর্তে প্রাপ্ত কনসেশনাল ঋণের পরিবর্তে বাজারভিত্তিক ঋণ নিতে হবে, ফলে ঋণ পরিশোধের দায় বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের আইডিএ সফট লোন সুবিধাও হারাবে। সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই, বিগমিয়া, বিকমিয়া, এমসিসিআই, ফিকি সহ ১৫টি শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বারের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচও