
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত আসন সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের শুনানিতে কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “সীমানা পুনর্নির্ধারণে আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেছি। কোনো প্রকার চাপ বা প্রভাব এখানে কাজ করেনি। প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে আমরা ভোটারদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি।”
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রথম দিনে কুমিল্লা অঞ্চলের মোট ১৮টি আসন নিয়ে শুনানি হয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় প্রতিটি আপত্তিকারী বা তাদের অনুমোদিত কৌঁসুলি শুনানিতে বক্তব্য রাখেন। ইসির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি আসন নিয়ে দুই পক্ষের ১০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতির ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কমিশন ভবনের ভেতরে ও বাইরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও কোস্টগার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে। ওই খসড়ায় উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল—বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটিতে আনা এবং গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে মোট ছয়টি করা। ভোটার সংখ্যা ও ভৌগোলিক কাঠামোর ভারসাম্য নিশ্চিত করাই এ পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য।
শুনানির বিষয়ে ইসি জানিয়েছে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসন নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তি আবেদন জমা পড়ে। শুনানিগুলো চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সব আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে কমিশন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। জনগণ চাইলে আমাদের কাজ পর্যালোচনা করতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আসন সীমানা নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি বা প্রশ্ন যেন না থাকে, তা নিশ্চিত করাই ইসির দায়িত্ব। চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশের পরই পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি শুরু হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচও