
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিউরেটর পদের দায়িত্বে বড় পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও আলোচিত কিউরেটর টনি হেমিং আবারও ফিরছেন বিসিবির সঙ্গে। গেল বছর বোর্ডের সঙ্গে মতপার্থক্য ও নানা জটিলতার কারণে চাকরি ছাড়লেও, বিসিবি আবারও তাকে নতুন করে দায়িত্ব দিয়েছে। এবার তিনি সরাসরি বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে কাজ করবেন এবং তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে বোর্ড।
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, হেমিং কেবল বিসিবির প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বই পালন করবেন না, পাশাপাশি বোর্ডের অধীনে থাকা অন্যান্য কিউরেটরদেরও প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবেন। বিসিবির মাঠ ও পিচ ব্যবস্থাপনায় তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বোর্ড।
মিঠু বলেন, “হেমিংয়ের সঙ্গে আমাদের দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। তিনি পিচের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বিসিবির কিউরেটরদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন।”
এছাড়া হেমিংকে বিসিবির হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা তাকে মাঠ ও উইকেট সংক্রান্ত সব ধরনের কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক করে তুলবে।
অন্যদিকে, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনী ডি সিলভার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, “সময় বলবে গামিনী থাকবেন কি না। আপাতত তার এক বছরের চুক্তি আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে দুই মাসের টার্মিনেশন নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সুতরাং পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলাতে পারে।”
এই অবস্থায় বোঝা যাচ্ছে, বিসিবি কিউরেটরদের নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে। মূলত আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে মানসম্মত পিচ সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য।
টনি হেমিং আগে বিসিবিতে কাজ করার সময় পিচের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে প্রশাসনিক ও নীতিগত মতবিরোধের কারণে তিনি বিদায় নেন। তার ফেরত আসা অনেকের কাছে বিসিবির জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে পিচ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
নতুন দায়িত্বে হেমিং কেবল পিচ নয়, বরং ঘাস, আউটফিল্ড ও মাঠের সামগ্রিক অবস্থা নিয়েও কাজ করবেন। বিসিবির লক্ষ্য হলো—দেশের সব আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ভেন্যুতে সমান মানের ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের উপযোগী উইকেট তৈরি করা।
সবমিলিয়ে, বিসিবির কিউরেটর পদে এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো ও ম্যাচের মানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে গামিনীর চুক্তি বহাল থাকবে কি না—তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ