
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যারা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা এখন অনলাইনে কিংবা মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে। একইসঙ্গে, পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশন ব্যবহার করেও ফল জানতে পারবেন। এজন্য প্রথমে SSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন DHA—ঢাকা বোর্ডের জন্য), এরপর আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, তারপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার সাল লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: SSC DHA 123456 2025
। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফলাফল এসএমএসে পেতে হলে অবশ্যই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য Dakhil<>Board Name [প্রথম ৩ অক্ষর]<>Roll<>Year লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার্থীর মোবাইলে এসএমএস চলে আসবে।
গত ১০ জুলাই প্রকাশিত মূল ফলাফলে দেখা যায়, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে গড় পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে।
-
এসএসসি (সাধারণ শিক্ষা বোর্ড): পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন।
-
দাখিল (মাদরাসা বোর্ড): পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৬ জন।
-
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ৪ হাজার ৯৪৮ জন।
প্রতিবছর মূল ফলাফল প্রকাশের পর অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সন্দেহ বা অসন্তোষ প্রকাশ করে। এই কারণে শিক্ষা বোর্ডগুলো পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ দিয়ে থাকে। এতে খাতা পুনঃমূল্যায়ন না হলেও নির্ধারিত নিয়মে খাতার মার্কস এন্ট্রি যাচাই, উত্তরপত্রের অংশ বাদ পড়েছে কি না, বা নম্বর গণনায় ভুল হয়েছে কি না—এসব বিষয় পরীক্ষা করে দেখা হয়। ভুল পাওয়া গেলে নম্বর সংশোধন করে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত এ বছরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো। এখন শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ধাপে কলেজে ভর্তি বা উচ্চতর শিক্ষায় অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নেবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ